বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ক‌রোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলা‌দেশ বি‌শ্বের এক নম্বর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৯৬ পাঠক পড়েছে

‘বিগত দি‌নে ক‌রোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলা‌দেশ তার কর্মকাণ্ডের কার‌ণে বি‌শ্বের এক নম্বর দেশ। এর জন্য কৃ‌তি‌ত্বের দা‌বিদার চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দে‌শের সর্বস্তরের জনগণ।’ সোমবার (২২ ন‌ভেম্বর) রাজধানীর হো‌টেল ইন্টার ক‌ন্টি‌নেন্টালে বাংলা‌দেশ মে‌ডি‌সিন সোসাইটি আ‌য়ো‌জিত কোভিড বিষয়ক সে‌মিনা‌রে প্রধান অতি‌থির বক্ত‌ব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জা‌হিদ মা‌লেক এসব কথা ব‌লেন। এসময় মন্ত্রী ব‌লেন, কো‌ভি‌ডের সময় আমা‌দের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভা‌বে মানু‌ষের সেবা ক‌রে গে‌ছেন। ২০০ ডাক্তার ‌কোভিডে মারা গে‌ছেন। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবা‌দিকসহ যারা মারা গে‌ছেন; সবার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

তি‌নি ব‌লেন, কো‌ভিড কী জানতাম না আমরা। আলাদা কো‌নো বেড ছিল না, সেখা‌নে আমরা ১৮ হাজার বেড তৈ‌রি ক‌রে‌ছি। ১২০টি হাসপাতা‌লে সেন্ট্রাল অক্সিজে‌নের ব্যবস্থা ক‌রে‌ছি। ক‌য়েক হাজার বে‌ডের স‌ঙ্গে অক্সিজেন সং‌যোগ দি‌তে পে‌রে‌ছি। এক‌টি পি‌সিআর ল্যাব ছিল, বর্তমা‌নে সারা দে‌শে ৮০০ ল্যাব স্থাপিত হ‌য়ে‌ছে। এসবই সম্ভব হ‌য়ে‌ছে সরকার এবং সর্বস্ত‌রের মানু‌ষের সহ‌যো‌গিতায়।

মন্ত্রী ব‌লেন, ঘ‌রে ব‌সে অনেক সমা‌লোচনা ক‌রে‌ছেন। আর আমা‌দের ডাক্তার, নার্সরা রোগী‌দের সেবা ক‌রে কা‌টি‌য়ে‌ছেন। প্রায় বিনামূ‌ল্যে (১০০ টাকায়) সারা দে‌শে ক‌রোনার টে‌স্টের ব্যবস্থা করা হ‌য়ে‌ছে। ১৫ হাজার ডাক্তার, ২০ হাজার নার্স নি‌য়োগ হ‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে ১৮ হাজার কো‌ভিড বে‌ডে ১ হাজার রোগীও নেই। এ সাফ‌ল্যের ভা‌গিদার সবাই। তি‌নি আরও ব‌লেন, অন্য অনেক দে‌শের তুলনায় ভা‌লো অবস্থা‌নে আছি আমরা। দে‌শের ৮ বিভাগীয় শহ‌রে ৮‌টি বি‌শেষা‌য়িত ক্যান্সার, কিড‌নি ও কা‌র্ডিয়াক হাসপাতাল নির্মা‌ণের কাজ চল‌ছে। অচি‌রেই আরও ৪ হাজার ডাক্তার, ৮ হাজার নার্স ও ১৫/২০ হাজার টেকনিশিয়ান নি‌য়োগ দেওয়া হ‌বে।

বি‌শেষ অতিথির বক্ত‌ব্যে প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ যেসব ডাক্তাররা এফ‌সি‌পিএস পাশ ক‌রে‌ছেন তা‌দের অভিনন্দন জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, ক‌রোনার সময় নিরলস কাজ ক‌রেও পড়াশোনা করার কার‌ণেই এই সাফল্য এসেছে। তি‌নি ব‌লেন, নি‌জে‌দের ও প‌রিবা‌রের কথা না ভে‌বে সবাই করোনার সময় যেভা‌বে দিন-রাত রোগী‌দের সেবা ক‌রে‌ গে‌ছেন, তারই ফ‌লে এখন দে‌শের সা‌র্বিক অবস্থা অনেক ভা‌লো। তারপরও সবাইকে স‌চেতন থাক‌তে হ‌বে, মাস্ক পর‌তে হ‌বে।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580