স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে বিএনপি। সোমবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা স্মরণিকার উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় আসে অন্য ব্যাপার। ব্যানারে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছবি থাকলেও ছিলো না দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি। ব্যানারে দলীয় প্রধানের ছবি না দেখে উপস্থিত দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে কি বিএনপি তাকে ভুলেই গেছে! যদিও, অনুষ্ঠানের শুরুতে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হয়।
ব্যানারে দলের চেয়ারপারসনের ছবি না থাকায় উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সে কারণে হয়তো আজকের অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি ব্যবহার করা হয়নি। তবে কারাগারে যাওয়ার পরে তার সম্মানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটি চেয়ার খালি রাখা হতো। আজকেও অন্তত সে রকম করে একটি চেয়ার খালি রাখা যেত। কিন্তু কেন এটা হয়নি, তা দলের নীতিনির্ধারকরা বলতে পারবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এর আগে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস, ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিসহ স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিবস উদযাপন করবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু; বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাদা মিয়া, বরকত উল্লাহ বুলু, আহমদ আজম খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন; যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।