বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না বলে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক পাঠালেও তিনি স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্টে থেকে যান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতকে শেখ রাসেল পৌর মিনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন-পরবর্তী সমাবেশ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বাইরে অবস্থান করছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে নিয়ে যেতে লোক পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলেছিলেন যুদ্ধকালে এলাকায় থাকা নিরাপদ নয়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ক্যান্টনমেন্টে এসে অবস্থান নিয়েছিলেন। স্বেচ্ছায় যারা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান নিয়েছে, তারা কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে খুনি মুশতাক ও জিয়া পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। ইসলামের অপব্যবহার করা হয়, ভাঁওতা দেয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের কাছে এতিমের টাকাও নিরাপদ নয়। সেই অপরাধে জেল খাটছেন উনি। কিন্তু তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি, জামাতায়সহ অন্য দলগুলোর নেতারা ক্ষমতায় ছিল ২৯ বছর। সেই সময় তারা দেশের কোনো উন্নতি করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ। আমরা ক্ষমতায় আসার পর কী পরিমাণে উন্নয়ন হয়েছে তা একটু চারিদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ভবন করে দিয়েছে। চারদিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এই সরকার আরো ক্ষমতায় থাকলে দেশের আরো উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, আমি যখন মন্ত্রী হই তখন আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের ভাতা ছিল মাত্র তিন হাজার টাকা। সেটা এখন ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সব বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ৫০ বছর পর কেউ দেখলে বোঝা যায় এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। রাজাকারের তালিকা করা হবে, যেহেতু আপনারা অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ছাতক পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহিদ মজনু, সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নূরুল মোমেন প্রমুখ।