বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের বিষয়ে এক হেফাজত নেতা থেকে স্বীকারোক্তি আদায়কে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেছে কাওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটি।
বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদপত্রে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দু-একটি গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনের এক সপ্তাহ আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আল্লামা বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাকে নির্জলা মিথ্যাচার।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
হাফেজ তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এ যাবৎ কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, আল্লামা বাবুনগরী সামনাসামনি তাকে কখনোই দেখেননি।
তিনি বলেন, ‘হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, ২০১৩ সালে যখন তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়, তখনো পুলিশ তাকে বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চেয়েছিল।’
হেফাজতের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ‘মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যা দাবির স্বপক্ষে তাদের কেউই কখনো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ইবাদত-বন্দেগির মাসে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হক্কানি উলামায়ে কেরামের ওপর পুরোনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।