খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এরমধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৫ জন করোনায় ও ৫ জন উপসর্গে, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন এবং জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরআগে গতকাল রবিবার ১৪ জন, শনিবার ১০ জন, শুক্রবার ২৭ জন, ৮ ও ৭ জুলাই ২২ জন, ৬ ও ৫ জুলাই ১৭ জন, ৪ জুলাই ১৫ জন, ৩ ও ২ জুলাই ১১ জন এবং ১ জুলাই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় মৃতরা হলেন-খুলনা মহানগরীর নিরালার আবুল হোসেন (৪৫), খালিশপুরের আসমত শেখ (৮০), একই এলাকার জাহিদ হক (৩৫), সোনাডাঙ্গার পলি (৩২) ও পাইকগাছা উপজেলার মহিউদ্দিন সরদার (৭৫)। বর্তমানে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৯ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১২৫ জন, ইয়ালো জোনে ৩৪ জন, আইসিইউতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন-খুলনা মহানগরীর মুন্সিপাড়ার শামসুন্নাহার (৪৫), দৌলতপুরের রেলীগেট এলাকার মো. আলী আকবর (৬১) ও রূপসা উপজেলার আনন্দনগরের আজিজুর রহমান (৭৫)। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন, তার মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩৯ জন মহিলা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি হলেন, নগরীর আড়ংঘাটার আফসার আলী (৭০)। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টয় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা মহানগরীর টুটপাড়ার সালেহা বেগম (৮৬), স্যার ইকবাল রোডের মুসতারী (৮২) এবং বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার শেখ জাফর আহম্মেদ (৮৯)। বর্তমানে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১২৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ জন।