২৬ বছর পর খুলনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির রায়ে খালাস দেয়া হয় ছয়জনকে।
খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এই রায় ঘোষণা করেন।
গত ৩ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট সগীর উদ্দিন আহমদের সাক্ষ্যদানের মধ্য দিয়ে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ চাঞ্চল্যকর মামলাটির বাদী রূপসা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের শেখ আলমগীর হোসেন, প্রধান সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা ও দুই আসামি ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। মামলা দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে স্থগিত ছিল। উচ্চ আদালত ২০১৮ সালের ২ আগস্ট ভ্যাকেট রুল নিষ্পত্তি করে স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। এ আদেশ এ বছরের ৩ জানুয়ারি খুলনায় এসে পৌঁছায়।
খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গত ২৬ জানুয়ারি সাক্ষীদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৬ জানুয়ারি, ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৫ মার্চ ও ২৩ মার্চ এ মামলার অন্যতম আসামি খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পলাতক আসামিরা গত চারটি ধার্য দিনেও উপস্থিত হয়নি। তাদের পক্ষে স্ট্রেট ডিফেন্স দিচ্ছে অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।
শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস, তরিকুল হুদা টপি, মফিজুর রহমান, ওয়াসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, আনিছুর রহমান ওরফে মিল্টন ও মো. তারেক।
১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে খুলনা সদর থানার অদূরে স্যার ইকবাল রোডে বেসিক ব্যাংকের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শেখ আবুল কাশেম ও তার চালক মিখাইল নিহত হন। খুলনা থানায় মামলা করা হলেও পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডির ওপর। তারা দীর্ঘ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।