রংপুরে ফের ঊর্ধ্বমুখী মাংসের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। এছাড়া সবজির বাজার প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল ও চাল। নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি ২৪০-২৫০ থেকে বেড়ে ২৭০-২৮০, দেশি মুরগি ৩৯০-৪০০ থেকে বেড়ে ৪৪০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু ৬০০ এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলা বাজারে মুরগি কিনতে আসা গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দামও। এতে মাংসের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে উঠছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫, মটরশুটি ৮০, মুলা ১৫-২০, করলা ৯০-১০০ থেকে বেড়ে ১১০-১২০, ধনেপাতা ২০, চিকন বেগুন ৪০, গোল বেগুন ৬০-৬৫, শিম ৩৫-৪০, শসা ৭০ থেকে কমে ৫০, পেঁপে ২৫, লেবু প্রতি হালি ২০, কাঁচামরিচ ১০ থেকে বেড়ে ৫০, প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০-১৫, ফুলকপি ২৫-৩০, লাউ ৪০-৪৫, কাঁচকলা হালি ২০-২৫, প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল। বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৫-১৬৮ ও খোলা সয়াবিন ১৮০ এবং বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল ৭৯৫-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) ৪৬-৪৮ টাকা অপরিবর্তিত থাকলেও বিআর২৯ ৫৫ থেকে বেড়ে ৫৭, বি২৮ ৫৮-৬০, মিনিকেট ৬৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের বাজার।