আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম ওমেদার- মিলন, শওকত এর সিন্ডিকেড ঘুষ-বাণিজ্য, হয়রানি’তে দিশেহারা সেবা নিতে আসা দাতা-গ্রহিতারা। এছাড়াও দুর্নীতির আখরা পরিণত করেছেন আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসকে। অন্যের সাব-কবলা জমি ও ভুয়া দলিল করে দিতেও পিছপা হন না সাব-রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম। টাকা পেলে সব কিছু করতে পারেন টাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাব-রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম গংরা। এ যেন দেখার কেউ নাই।
আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে রাজস্ব লুট করছে সাব-রেজিষ্ট্রার-রেজাউল করিম ও তার নেতৃত্বে অসাধু সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন অমেদার-মিলন, শওকত তাদের অনুসারী কিছু দলিল লেখকরা। একাধিক সূত্রে জানা যায় সাব-রেজিষ্ট্রার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাল জমিকে ডোবা ও নালা, দেখিয়ে দলিল সম্পাদন করেন, এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও কোটি কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাব-রেজিস্ট্রার ও তার সহকারী কেরানী, ওমেদার-মিলন, শওকত, অসাধু কিছু দলিল লেখকরা। দলিল প্রতি পাঁচ হাজার টাকা হতে শুরু করে দলিলের ধরন বুঝে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয় এই সিডিকেটদের কে। এছাড়া কমিশন দলিল এর ক্ষেত্রে ও মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয় সাব-রেজিষ্ট্রার কে।
দলিলের সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ঘুষ ছাড়া কোন দলিল সম্পাদন হয় না। দলিল প্রাথমিক যাচাই-বাচাই করার জন্য ঐ দুই ওমেদার যাচাই-বাচাই করে তাদের শিক্ষাগতযোগ্যতা অতি নিম্নমানের। পেনছিল দিয়ে দলিলের পিছনে সংকেত লিখে দেন। সে সংকেত দেখে সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম দলিল সম্পাদন করে থাকেন। এক কথায় হয়রানির আরেক নাম আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস। আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে ১৩৫৬/২১ ২৬৪৬/২১ ও ২৬৪৭/২১ নাম্বার দলিলসমূহ পরীক্ষা করলে বা জমির সরেজমিন তদন্ত করলে দেখা যাবে ঐ দলিলে যে তফসিল উপস্থাপন করা হয়েছে তা বাস্তভিটা অথচ দলিলে দেখানো হয়েছে কৃষিজমি।
এহেন ঘটনা অসংখ্য দলিলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। সাব-রেজিস্ট্রারের চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিলেই বস্তভিটা কৃষি বা নালা জমি দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব অপচয়ে ঘটনা ঘটেছে। সাব-রেজিষ্ট্রার সহ এই দুই কর্মচারীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, অভিযোগ রয়েছে সাব-রেজিষ্ট্রার উক্ত অফিসে যোগদান করেই দলিল লেখকদের-কে প্রকাশ্য বলে থাকেন আমার দেশেরবাড়ী গোপালগঞ্জ। এছাড়াও সাব-রেজিষ্ট্রারদের সংগঠনের খিদমত এর সম্পাদক হিসেবে আমি আছি।
আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সাথে রয়েছে আমার বিশেষ সক্ষ্যতা। সাব-রেজিষ্ট্রার-রেজাউল করিম এর দেশেরবাড়ী গোপালগঞ্জ এলাকায় হওয়াতেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘুষ, ত্রাশের রাজত্ব কায়েক করে চলেছেন তিনি। তার কিন্ডিকেটের মাধ্যম ছাড়া দলিল সম্পাদন করা কঠিন। না প্রকাশ না করা সত্বে একাধিক দলিল লেখকগণ এই প্রতিবেদক কে জানান, তাদের কাছে আমরা জিম্মি, অসহায়। তাদের চাহিদা মাফিক দলিল প্রতি ঘুষের টাকা না দিলে হতে হয় বিভিন্ন হয়রানির স্বীকার। তাদেরকে অন্যত্র বদলী করাতে পারবেন নাকি কেউ। রাজস্ব ফাকির দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ঐ চক্রটি। অবৈধভাবে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন সাব-রেজিষ্ট্রার- রেজাউল করিম ও তার দুই সহচর।
সূত্রমতে এই সাব-রেজিস্ট্রার ইতোপূর্বে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেও তিনি ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপার্জিত অর্থে রাজধানীর উত্তরায় স্ত্রীর নামে ৩টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক তাদের সম্পদের খোজ-খবর নিলে অবৈধ সম্পদের খোজ মিলবে। গত সপ্তাহে আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায় সাব-রেজিষ্ট্রার তার খাস কামরায় বসে দলিল দাতা-গ্রহিতাদের সাথে ঘুষ লেনদেনের ব্যস্ত সময় পার করছেন সাব-রেজিষ্ট্রার ও দুই অমেদার। সাব-রেজিষ্ট্রার- রেজাউল করিম- তার মুঠো ফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত পাওয়া সম্ভব হয়নি।