স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। গুচ্ছভিত্তিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে হবে আবাসিক এলাকা, কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। যেন সব মানুষ এক জায়গায় সুবিধাগুলো পায়।’ তিনি আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আর মাষ্টার প্ল্যান করলে বাস্তবায়নে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, সকল অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। এতে করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সুয়ারেজের লাইন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। মানুষকে গ্রামে রাখতে হলে সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা যেমন-কর্মসংস্থান, ব্যাংক-বীমা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ স্যানিটেশনসহ সকল ধরনের সুবিধা সরবরাহ করতে হবে। দেশের বড় বড় শহর-নগরের মত গ্রামগুলোকে ক্ষতবিক্ষত হতে দেয়া যাবে না।
গ্রাম-গঞ্জে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনো অনিয়ম করলে তাদেরকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আধুনিক কৃষি চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদে উৎপাদন বেড়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ও বগুড়ায় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুই জায়গায় সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। এখন দেশের প্রতিটি সংসদ সদস্যর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিতে অনেক বড় সাফল্য আসবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ ও রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইয়োহো।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং আমার গ্রাম আমার শহর কারিগরি সহায়তা প্রকল্প (এলজিইডি) উপদেষ্টা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।