গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পেতে চাই না। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বাড়ালে অনেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার আইআইএফসি কর্তৃক ‘গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপের খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৮৮ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবায় সন্তুষ্ট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শতভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবায় সন্তুষ্টি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। আমরা শতভাগ গ্রাহকের সন্তুষ্টি চাই। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে গ্রাহকদের সমস্যা ও অভিযোগ যথাযথভাবে সম্মানের সাথে মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংস্থার নিজস্ব মূল্যায়ন থাকা আবশ্যক। সেবা যত দ্রুত অনলাইন বা ডিজিটালাইজড করা যাবে গ্রাহক সেবার মান তত দ্রুত বাড়বে।
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ৭০০ গ্রাহক ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৭০০ গ্রাহকের উপর ‘গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপ’ পরিচালনা করা হয়। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ, অভিযোগ সেবা, বিলিং ও মিটারিং– এই চারটি বিষয় তুলে আনা হয়। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ৭১ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহক ২৯ শতাংশ।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর ৩৯ শতাংশ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর ৩৯ শতাংশ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ২২ শতাংশ গ্রাহক এই জরিপে অংশগ্রহণ করেছে। সার্বিকভাবে ৮৮ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবায় সন্তুষ্ট বলে জরিপে উঠে এসেছে। বিদ্যুৎ সংযোগে ৯৪ শতাংশ অভিযোগ সেবায় ৭৭ শতাংশ, বিলিংয়ে ৯৫ শতাংশ ও মিটারিং সেবায় ৮৮ শতাংশ গ্রাহক সন্তুষ্ট।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৫২ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে না যেয়ে কোন না কোন মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে আবেদন করেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ৫২ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কেন মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে আবেদন করে তা খুঁজে বের করতে হবে।বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো কী সেবা দেয়, কোথায় এই সেবা কিভাবে পাওয়া যাবে বা উদ্দিষ্ট সেবার ফি কত বিষয়গুলো গ্রাহকদের জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। জন-প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত রেখে ব্যাপক প্রচার করা প্রয়োজন।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্যান্য দফতর প্রধানগণ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।