চট্টগ্রামের ১২ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো করোনা রোগি শনাক্ত হয়নি। নগরী ও অবশিষ্ট দুই উপজেলায় এ সময়ে ২ জনের মৃত্যু ও ২৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম জেলার করোনা বিষয়ক হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, নগরীর সরকারি-বেসরকারি ছয়টি এবং ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ২৮ জনের মধ্যে শহরের ২৩ ও দুই উপজেলার ৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ৪ জন ও বোয়ালখালীতে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৬৯৪ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৫৮ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে শহরের ২ জন মারা যায়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ৩০১ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭১৮ ও গ্রামের ৫৮৩ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮০১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৭০ এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭২ হাজার ২৩১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১শ’ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৭৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৭৮৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৬৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ১ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ ও গ্রামের ৪টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনায় শহরের ৫টির পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬৭টি নমুনায় শহরের একটি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের একজনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। এটির ফলাফল নেগেটিভ আসে।
তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট অনুযায়ী সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চমেকহা’য় ৩ দশমিক ০১, চবিতে ১৪ দশমিক ৫৮, আরটিআরএলে ৫৫ দশমিক ৫৫, শেভরনে ০ দশমিক ৪৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৪৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ১৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ।