চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামে করোনার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল বুধবার ১ হাজার ৬৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৩৬ জনের মধ্যে শহরের ১৩ এবং ১০ উপজেলার ২৩ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৯৪০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৭৯৩ জন শহরের ও ২৮ হাজার ১৪৭ জন গ্রামের। উপজেলায় আক্রান্তদের মাঝে সাতাকানিয়ায় ৫ জন, হাটহাজারী ও চন্দনাইশে ৪ জন করে, সীতাকু-ে ৩ জন, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং রাউজান, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গ্রামের একজন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে ৭২০ জন শহরের ও ৫৮৯ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের একজনসহ ১২ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৭ জনের নমুনার মধ্যে একজনও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬৮ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৪ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭৩ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ১২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়। এখানে শহরের ৩টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২ ও গ্রামের ৪ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪১ টির পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টি করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১০৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬, ল্যাব এইডে ২ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ১৮ নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^দ্যিালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৩৮, চমেকহা’য় ০ শতাংশ, সিভাসু’তে ৩ দশমিক ৫৭, এন্টিজেন টেস্টে ৬ দশমিক ৮৫, আরটিআরএলে ২৫, শেভরনে ১ দশমিক ২১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৪২, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ৬৯ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।