ভোলার চরফ্যাশনের একটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার হাজারীগঞ্জ ইউপির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে চর ফকিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মনির হোসেন (২৫)। তাৎক্ষণকিভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষে এক নারী ও এক শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশীরা জানান, ভোটকেন্দ্রে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন ও ইউসুফের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে মনির গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান।
চরফ্যাশন সদর থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, নিহতের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, দুই পক্ষের সহিংসতায় অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে মনির মারা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। মানুষ মারা যায় এমন গুলি পুলিশ ছোড়েনি।
প্রত্যক্ষদশীর বরাত দিয়ে এসপি আরও জানান, এক প্রার্থীর বিদেশ ফেরত ছেলের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সুমন বসাক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতার পর ওই কেন্দ্রে এক ঘন্টা রজন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে।
এরআগে সকাল ৮টায় দেশের ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়; যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রথম ধাপে দেশের ৩৬৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলেও করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে খুলনা বিভাগের সবগুলোসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং নোয়াখালী জেলার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট স্থগিত করা হয়। গত ১০ জুন নির্বাচন কমিশন জরুরি সভায় দেশের ১৬৩ ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়।
সোমবার যে ২০৪ ইউপিতে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১৭৩টি ইউপি, নরসিংদী জেলার দুটি, গাজীপুর জেলার ছয়টি, মাদারীপুরের ১৩টি, সুনামগঞ্জের দুটি, লক্ষ্মীপুরের ৬টি এবং রংপুর ও বগুড়ার একটি করে ইউপি রয়েছে। ২০৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২০টিতে ইভিএমে ( ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।