চলতি (২০২১-২২) অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বুধবার এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রকাশ করে এডিবি। সেখানেই প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত এ পূর্বাভাস করা হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং শক্তিশালীকরণ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অব্যাহত সম্প্রসারণ এবং সরকারের কার্যকর পুনরুদ্ধারের নীতির ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাসে আর বলা হয়েছে, অর্থবছর শেষে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে, জিডিপির ঘাটতি হবে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে এতে।
বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, জীবিকা রক্ষায় জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারের নীতিগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে, যা সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে প্রশংসনীয়। কঠিন এই সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, প্রণোদনা এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দক্ষ বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে এ অবস্থায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত টিকা দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
মনমোহন প্রকাশ আরও বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো প্রশংসাযোগ্য। ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতা, বিদেশি বিনিয়োগ, রফতানি বৈচিত্র্য, দক্ষতা উন্নয়ন বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার কর্মসূচির অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করেছে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন এবং অর্থখাতের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড -১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হয়েছে।