চুলকানি এক অস্বস্তিকর অনুভূতি। এটি হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায়। ত্বকের শুষ্কতা ও কীটের কামড়েও চুলকানি হতে পারে। আবার ত্বকের সমস্যা ও মারাত্মক কিছু রোগেও চুলকানি হতে পারে। অস্বস্তিকর এই চুলকানি কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতি বেশ কাজে দেয়। এসব পদ্ধতি ব্যবহারের পরেও চুলকানি না কমলে বিশেষজ্ঞ ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুলকানি বাইরে থেকে নয়, শরীরের ভেতর থেকে উদ্দীপ্ত হতে পারে। শরীর পানিশূন্যতায় ভুগলে ত্বক চুলকাতে পারে। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পানে সমস্যাটি দূর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নারকেল তেল
ত্বকের যত্নের জন্য এটি বেশ কাজে দেয়। ত্বকের পানির ভারসাম্য রক্ষার জন্যও এটি বেশ কার্যকর। একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে ৫-১০ সেকেন্ডে গরম করে যেখানে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখছেন বা যেখানে চুলকাচ্ছে, সেখানে এই গরম তেল লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তিন-চার ঘণ্টা পরপর এভাবে গরম তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বকের চুলকানি বা অ্যালার্জির উপশম হবে।
খাঁটি ডালডা
শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটি একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের চুলকানি থেকে আরাম পেতে এবং অ্যাকজিমাপ্রবণ ত্বকে ডালডার ব্যবহারে ত্বক হবে আর্দ্র, কমবে চুলকানিও। তবে ডালডা হতে হবে খাঁটি।
বেকিং সোডা
১ চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি যোগ করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে দিন। ১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন-চারবার ব্যবহার করতে পারেন এটি। তবে এটি ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
আপেল সিডার ভিনেগার
এটি ত্বকের যত্নে কেবল দুর্দান্তই নয়, ত্বকের চুলকানি ও অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতেও কার্যকর। ১ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলার সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। শুকালে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত দুইবার এটি করতে পারেন। তবে সংবেদনশীল ত্বকে এটি ব্যবহার করবেন না।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালার্জির কারণে যদি চুলকানি ও শুষ্কতার সমস্যা হয়, তবে অ্যালোভেরা একটি সেরা উপাদান। চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে কিছুটা তাজা অ্যালোভেরার নির্যাস নিয়ে ত্বকে লাগান। তাজা অ্যালোভেরা না থাকলে চুলকানির জায়গায় অ্যালোভেরা জেল মেখে ৩০-৪০ মিনিট রেখে পরিষ্কার করে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
টি-ট্রি অয়েল
টি-ট্রি অয়েল ত্বকের চুলকানি দূর করতে বেশ সহায়ক। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-আইফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অনেক ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়। টি-ট্রি অয়েল আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে। তাহলে চুলকানি দূর হবে।
লেখক: সাবেক নির্বাহী পরিচালক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ