করোনার বিধিনিষেধ ও রোজার শুরুর দিকে চাল ও মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে চাল ও মুরগির বাজারের কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে এখনও চড়া সবজির বাজার।
শনিবার পুরান ঢাকার নয়াবাজার ও রায় সাহেব বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন, পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, বরবটি, করলা, কচুর লতি, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৫০, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ও চালকুমড়া আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু হালিপ্রতি আকারভেদে ২০ থেক ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাক, লাউশাক, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক ও পাটশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম বলেন, সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলানায় বেগুনের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমলেও টমেটোর দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।
সবজি কিনতে আসা খালেদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, সবজির দামটা এখনও চড়া। সব সবজির দামই ৪০ টাকার ওপরে। সবজির দামটা কিছুটা কমলে স্বস্তি পাওয়া যেত।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ১৩০ টাকা, সোনালিকা (কক) ২৫০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সালেহ আহমেদ নামের এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, রোজার শুরুতে মুরগির দাম বেশি ছিল। তবে এখন অনেক কমেছে। যেমন আগে আমরা ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালিকা (কক) ৩০০ টাকা ও লেয়ার (লাল) ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন ব্রয়লার কেজি ১৩০ টাকা, সোনালিকা (কক) ২৫০ টাকা ও লেয়ার (লাল) ২২০ টাকায় বিক্রি করছি।
নয়াবাজারে মুরগি কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম জানান, রোজার শুরুতে মুরগির দাম বাড়তি ছিল। তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, সবজির দামটা এখনও বেশ চড়া।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৫৮০ টাকায় আর খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই ও কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, আইড় ৪০০-৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০-৩৫০, বাইলা মাছ প্রকার ভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২৮০-৩০০ টাকা, পোয়া ৩০০-৪০০ টাকা, মলা ২৮০-৩৬০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ও দেশি মাগুর ৪০০-৫০০, শোল মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানি মো. সোহাগ জানান, মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৬৫ টাকা, পাইজাম চাল ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম কেজিতে ২ টাকা করে কমেছে। পেঁয়াজ আগের দামেই ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ও রসুন ৮০ টাকা এবং চায়না রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা ও মোটা দানার ডাল ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা আর খেসারি ৮০ টাকা, ডাবরি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় এবং পাঁচ লিটার ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকায়। প্রতি লিটার খুচরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৩৫ টাকা আর পামওয়েল তেল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।