সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল পৌনে ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ১০টা ১০ মিনিটে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী করমর্দন না করে দূরত্ব বজায় রেখে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। মাহিন্দা রাজপাক্ষেকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
আজ বিকালেই জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।
আগামীকাল শনিবার সকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এদিনই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৮ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে। দুই দিনের সফর শেষে আগামীকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলবে। এই অনুষ্ঠানে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পর বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দিতে না পারলেও ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
জানা গেছে, বিদেশি নেতাদের সফরে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে। এসব দেশের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তিও সই হবে। তবে সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা।