রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কারণে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২৮ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কেবল জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলেই প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০। এছাড়া এখনও সেখানে এক হাজারের ওপর মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ইউরোপজুড়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিম জার্মানির বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রাখেন।
জার্মানির পত্রিকা বিল্ড এই বন্যাকে ‘ফ্লাড অব ডেথ’ নামে অভিহিত করেছে। আচমকা এমন ভয়াবহ বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। কোনো কোনো অঞ্চলে রাস্তা এবং ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর রাস্তায় গাড়ি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কয়েকটি জেলা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এমন বিপর্যয়ে আমি হতবাক। বন্যায় অনেক মানুষ বিপাকে পড়েছেন। নিহত ও নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
জার্মানির পাশাপাশি ইউরোপের বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও আবহাওয়ার একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দুই দেশেও ভারী বর্ষণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেলজিয়ামে প্রায় ১ হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জার্মানিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে ১৯৬২ সালে। সেবার উত্তর সাগরের এক বন্যার কারণে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।