দেশে এ পর্যন্ত সোয়া ৭ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৩ হাজার ৮০১ এবং নারী ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৪ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৩ জন। এরমধ্যে ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৯ জন পুরুষ এবং নারী ২১ লাখ ৫৭ হাজার ২১৪ জন। এ ছাড়া আজ বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭০ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৩ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭৯ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৭ এবং নারী ৭১ হাজার ৬৮২ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৬ হাজার ৭৫০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৩৪৬ এবং নারী ১০ হাজার ৪০৪ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৯১৪ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১ লাখ ৫ হাজার ৯১১ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৮ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৬ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৬১৪ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৩ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫১ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৭ জন।
খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮০ হাজার ৫৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ১৫ হাজার ৪০৩ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৯ হাজার ৪৪৫ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৬ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৫৭৭ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৪ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।