কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছে। তার নাম হাসিম উল্লাহ (৩৩) ওরফে হাসিমুল্লাহ। জাদিমুরা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় শুক্রবার ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
হাসিম উল্লাহ জাদিমুড়া ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের ছেলে। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর তানভীর হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের নিচে ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ডাকাত দল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। র্যাবও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
র্যাব জানায়, নিহত হাসিম ডাকাত গ্রুপের প্রধান ছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহানাব চৌধুরী বলেন, ভোরে সাধারণ পোশাকে একজন ও র্যাবের দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাধারণ পোশাকের ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। র্যাবের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন উল্লেখ করে মেজর তানভীর হাসান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদক, সন্ত্রাস ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলবে।