আলো মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। বাবার স্বপ্ন ছিলো মেয়ে পুলিশ হবে। আলো আজ ট্রাফিক সার্জেন্ট হয়েছে। প্রথম দিনেই বাবার দোয়া নিয়ে কর্মস্থলে তার কাজ বুঝে নেয়।
সারাদিন প্রখর রৌদ্রের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে আলোকে নানা প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হয়। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে টয়লেট নিয়ে। কোন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনেই টয়লেট নেই।
একদিন রাতে ডিউটিরত অবস্থায় এক মাতাল ট্রাক ড্রাইভারের গাড়ি আটকায় আলো। সেই ড্রাইভারের লাইসেন্সের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ, তার উপর সে মাতাল। এ অবস্থায় গাড়ি চালালে যে কোন ধরণের বড় অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে ড্রাইভারকে আলো এ কথাটা বুঝাতেই পারছে না। ড্রাইভারটিকে মামলা দিলে সে আলোকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
এরমধ্যে নেম প্লেট বিহীন একটি বাইক আটকায় আলো। বাইকারের নাম নিয়ন। সে এই গল্পের নায়ক। নেম প্লেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তাকেও জরিমানা করেন আলো। এদিকে নিয়নের আলোকে ভালো লেগে যায়। সে প্রতিদিন আলোর ডিউটির জায়গায় আসে। এভাবে তাদের মধ্যে পরিচয় ও নাম্বার আদান প্রদান হয়।
একদিন রাতে আলোকে ফোন দেন নিয়ন। কিন্তু আলোর সহকর্মী রুমা জানায় আলো অসুস্থ। পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ায় এবং দীর্ঘ সময় পশ্রাব আটকে রাখায় ইনফেকশন হয়েছে এবং সেখান থেকে কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে এক সময় প্রত্যেক নারী পুলিশ বক্সের সামনে পোর্টেবল টয়লেট স্থাপন করা হয়। সবাই আলোকে অভিনন্দন জানায়। নিয়নও তাদের একজন। নিয়ন আলোকে ফোন দিয়ে বলে এমন একটা বিষয় সেলিব্রেট করা উচিত। আলো জানায় ডিউটি শেষে তারা কোথাও বসে সেলিব্রেট করবে।
আলো বরাবরের মতো তার ডিউটি পালন করছে। আলোকে থ্রেট দেয়া সেই ট্রাক ড্রাইভারটি দূর থেকে আলোকে লক্ষ্য করবে। ‘আজকে তোরে বাটে পাইছি, তুই সেদিন আমার লগে টক্কর দিছিলি আমারে চিনস নাই’ বলেই জোরে গাড়ি টান দিবে। আলো সিগন্যাল দিলে ড্রাইভারটি সেই সিগন্যাল উপেক্ষা করে আলোর উপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যাবে। আলো ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গোলাম সারোয়ার অনিকের রচনায় ‘আলো’ শিরোনামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। এতে আলো চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী এবং নিয়ন রূপে হাজির হবেন মনোজ কুমার প্রামাণিক। নাটকটি ঈদের পঞ্চম দিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আরটিভিতে প্রচারিত হবে।