আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদায়ী প্রেসিডেন্টের শেষ সময়ে এসে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যে তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের সাক্ষাৎ চেয়েও পাননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের দৈনন্দিন এজেন্ডায় যুক্ত করা হয়েছে ‘মঙ্গলবারে কোনো প্রকাশ্য ইভেন্ট নয়।’ হেরে যাওয়ার দিন হিসেবে এ দিনটিকে তিনি অপছন্দ করছেন কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে মঙ্গলবারে জনসমক্ষে কোনো প্রোগ্রাম রাখছেন না প্রেসিডেন্ট। এছাড়া নিয়মিত অনেক কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছেন না ট্রাম্প। এক মাসের বেশি সময় ধরে নিয়মিত গোয়েন্দা ব্রিফিংও শুনছেন না তিনি। নির্বাচনের পর থেকে মাত্র ৩ বার পাবলিক ব্রিফিংয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু সেগুলোতে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। আরও অনেক শিডিউল প্রেস ব্রিফিং বাতিল করে দেয়া হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকর্ম ও মিডিয়া উপস্থিতি কমিয়ে দিলেও মাঝে মাঝে নির্বাচনে প্রতারণা সংক্রান্ত দাবি করে টুইট করছেন তিনি। যদিও বিভিন্ন রাজ্যে তার ক্যাম্পেইনের করা মামলা খারিজ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ সময়ে ট্রাম্প বিশ্বে কোনো ঝামেলা বাধিয়ে দিতে পারেন। এরই মধ্যে ইরানে হামলা করা যায় কি না, উপদেষ্টাদের কাছে ট্রাম্প সেটি জানতে চেয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। এছাড়া ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্পের নিয়োগ করা নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার। দুই দেশে থাকা পাঁচ হাজার ও তিন হাজার মার্কিন সেনা সংখ্যা থেকে কমিয়ে উভয় দেশে আড়াই হাজার করে রাখা হবে।
নিজের অবস্থান বদলে যাচ্ছে- এমন ধারণা এখন ট্রাম্পও করছেন। অন্যান্য ক্ষমতা তো বটেই, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া বিশেষ মর্যাদাও চলে যাবে ট্রাম্পের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বিশেষ মর্যাদা পেতেন। কিন্তু টুইটার ও ফেসবুকের সিইও জানিয়েছেন, ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হলে ট্রাম্পকে সাধারণ মানুষের মতো নিয়মকানুন মেনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দুটি ব্যবহার করতে হবে।