স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন তাদেরও ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে যাদেরকে আমরা পজিটিভ পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছি।
এসময় তিনি আও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন, সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। ডোপ টেস্টে যদি পজিটিভ হয়, তবে সে চাকরি সরকারি চাকরি পাবেন না।
শুধু নিয়োগ প্রার্থীরা না, যারা ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন আমরা তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি।
শুক্রবার ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নেশা নিরোধ সংস্থা মানস আয়োজিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী অন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৩০ ও ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন দেখছি, সেটি বাস্তবায়ন হবে না যদি আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ না করি।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধে মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশের ফলে আমাদের তরুণ যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে মাদকাসক্তদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগই ধূমপায়ী এবং তার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও খুনসহ রাজধানীতে সংঘটিত অধিকাংশ অপরাধের সঙ্গেই মাদকাসক্তির সম্পর্ক রয়েছে।
আলোচনায় উপস্থিতি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, মানসের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা প্রমুখ।