করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঢাকার আশপাশের ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আশপাশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।
ঢাকায় দূরপাল্লার গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
দু-একটি গাড়ি ঢাকা থেকে বের হওয়া কিংবা ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অন্য জেলা থেকে আসা গণপরিবহনগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীতে দেখা যায়, এলাকার রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দূরপাল্লার কোনো বাস ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
আমাদের টঙ্গী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঢাকার আরেক প্রবেশপথ আব্দুল্লাহপুরেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখান দিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারবে না এবং কোনো বাস ঢাকায় ঢুকতেও পারবে না। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি।’
সাভার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আমিনবাজারেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী বাসগুলো ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সাভারের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাসগুলো ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা থেকে কোনো বাস বের হতেও দেয়া হচ্ছে না।’
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘চীন মৈত্রী সেতু, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু ও শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (বছিলা ব্রিজ) এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঢাকায় বাস ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশ পালন করছি। ঢাকায় বাস ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। জেলাগুলো হল- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এসব জেলায় মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।