শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ঢাকা ও রাজশাহীতে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৯০ পাঠক পড়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল বক্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকায় ও রাজশাহীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলা গ্রহণ করার মতো উপাদান না থাকায় খারিজের আদেশ দেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় মামলা হতে পারে না জানিয়ে সোমবার আবেদন খারিজ করে দেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান।

রবিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকী ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন জমা দেন। তবে বিচারক না থাকায় শুনানি হয়নি। সোমবার শুনানির জন্য রাখা হয়। এদিন সকালে মামলার আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়। বাদীপক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। এরপর বিকালে আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। রবিবার রাজশাহীতে মামলাটি করেন বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

মুরাদ ও নাহিদের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগে বলা হয়, আসামি ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং ২নং আসামি নাহিদ একজন মিডিয়া উপস্থাপক। গত ১ ডিসেম্বর আসামি নাহিদ আসামি ডা. মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীতে আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। ওই সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকার অশ্লীল মন্তব্য করেন।

মামলায় আরও বলা হয়, আসামি ডা. মুরাদ হাসান সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুয়ায়ী যে সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি সেই শপথ ভঙ্গ করেছেন। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ড ফেসবুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আসামি ডা. মুরাদের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ডে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকার ও অপমানজনক। উক্ত মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। তাই এ অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা প্রয়োজন।

নানা বেফাঁস মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড এবং ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ হারান। পদত্যাগের পর গত ৯ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু সেদেশে প্রবেশ করতে না পেরে রবিবার দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন জামালপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত বিতর্কিত সংসদ সদস্য মুরাদ।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580