ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী কবির আহম্মেদ কৌশিক কর্তৃক তার সহপাঠী ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানায়, অদ্য ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র কবির আহম্মেদ কৌশিক কর্তৃক তার সহপাঠী ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখ পড়াশোনার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে সহপাঠী ছাত্রীর সাথে কবির আহম্মেদ কৌশিক বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরিতে নেয়। লাইব্রেরিতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে। তাকে কয়েক দফা পথ রোধ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিপীড়ন করার এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে এবং ধস্তাধস্তির সময় কৌশিক ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী বিষয়টি সিনিয়র শিক্ষার্থীদের জানালে তারা তাকে বাসায় পৌঁছে দেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী লিখিত অভিযোগের একটি অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের কাছে জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহণসহ দ্রুত গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে নারী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিকরণের দাবি জানাচ্ছে। ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি কর্তৃক কবির আহম্মেদ কৌশিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে পৃথক আইন তৈরিসহ রায়ের বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছে।