সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আরজিনা বেগম (২৪) নামের গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কামান্ডার সিঞ্চন আহমেদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে মো. গোলাপ মিয়া (৩৬) ও তার সহযোগী আকরম আলী ছেলে মো. সোহাগ (২২) এবং একই গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৫)।
অধিনায়ক লে. কামান্ডার সিঞ্চন আহমেদ জানান, আজমিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের একটি আভিযানিক দল কার্যক্রম শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে জৈতাপুর গ্রাম থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাবের প্রাথমিক জিঙ্গেসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারদের তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ঘরে সন্তানদেরকে রেখে নিখোঁজ হন আজমিনা বেগম। পরের দিন ২১ এপ্রিল বুধবার সকালে তার নিজ বসতঘরের অদূরে রাখা লাকড়ি-খড়কুটোর মাচার নিচে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন বিকালে তাহিরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন নিহত গৃহবধূর স্বামী জৈতাপুর গ্রামের শাহনুর মিয়া।