দেশজুড়েই পড়েছে তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সূর্যের খরতাপে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রোদের তেজে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই।
অন্যান্য দিনের তুলনায় গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে সূর্যের তাপ। আর এমন গরমে ওষ্ঠাগত রাজধানীর রিকশাচালক ও হকারদের।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থায় রাজধানীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। শহরে পর্যাপ্ত গাছ আর ছায়াযুক্ত জায়গা না থাকায় কোথাও প্রশান্তির ঠাঁই মিলছে না। একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন রাজধানীবাসী।
গরমের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে রাজধানীর গাবতলী রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। রাস্তায় বের হলেই যেন সূর্যের তাপ, তীব্র গরম, লোকজনের ভিড় আর যানবাহনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসে। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থায় রাজধানীর জনজীবন।
মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী ইসরাত ওসমান বলেন, এতটাই গরম পড়েছে যেন মরে যাব। রাস্তার পাশে নেই কোন গাছ, তেমন বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোন জায়গা নেই। একটু বৃষ্টি হলে ভালো লাগতো।
রিকশা চালক হায়দার আলী বলেন, শুধুমাত্র পেটের দায়ে এই গরমের মধ্যে জীবন বাজি রেখে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। ইচ্ছে হয় ঠান্ডা কোথাও শুয়ে থাকি, কিন্তু পারি না। গরমে অতিষ্ঠ লাগে, একটু পর পর পানি খাই আর বসে থাকি। গরমের মাত্রা বেশি হওয়ায় কাজও করতে পারি না। ভাতের টাকা হলেই আর গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হবো না। এই ভ্যাপসা গরমে কখন যে দম বন্ধ হয়ে পড়ে যাই চিন্তা করছি।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা আছে। আজকেও একই রকম। ঢাকায় লোক জন আর গাড়ি বেশী চলায় গরমের অনূভুতি বেশি হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশের উপকূলে আসলে সারা দেশে ঝড় ও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।