ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড পাওয়া পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া দুই মাসের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ১৩ এপ্রিল ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজানুর রহমানকে দুই মাসের জামিন দেন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে মিজানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এর আগে ৬ এপ্রিল ওই মামলায় খালাস চেয়ে করা মিজানুর রহমানের আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ৪ এপ্রিল নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন মিজান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেয়া হয়নি।