আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। শৃঙ্খলা না মানলে যত বড় নেতা বা জনপ্রতিনিধি হোন না কেন, দল কাউকে ছাড় দিবে না। খেয়াল-খুশিমতো কথা বলা এবং অরাজনৈতিক বক্তব্য দলের ও সরকারের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কথাবার্তায় দলের শৃঙ্খলার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারো ব্যক্তিগত অনিয়মের দায় দল বহন করবে না।
তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ব্যক্তি ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না। দলের দুঃসময়ে এদের কেউ পাশে থাকবে না পক্ষান্তরে ত্যাগীরাই দলকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন বিষয়ক জাতীয় কমিটির বছরব্যাপি ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে দলীয় কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্র হতে তৃণমূল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই পুরো জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পারছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, আর তাদের উস্কানী ও পৃষ্ঠপোষক করছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা , কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও আনোয়ার হোসেন হেলাল।