লাশ দাফনের ১৩৮ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের কবর থেকে বেলাল হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের লাশ তোলা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে শতশত এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের মুজা মিয়া হাজ্বী বাড়ির আবুল গোফরানের সঙ্গে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন বাবু ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের আমিন উল্লাহ ছেলে মোশারফ হোসেনের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে আসামিরা গোফরানের ছেলে বেলাল হোসেনকে গত ১৬ মে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা পরিকল্পিতভাবে সেনবাগ উপজেলার নোয়াখালী মহাসড়কের আহম্মদিয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে নিয়ে মাথায় আঘাত করে বেলালকে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে তারা বেলাল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করে। এরপর নিহতের বড়ভাই মোফাজুল হোসেন প্রকাশ উজ্জল বাদি হয়ে গত ২২ আগস্ট নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সাইফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু ও মোশারফ হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরপর সেনবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর সেনবাগ থানা পুলিশ বেলালের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। এরপর আজ দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।