হাজার হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি বন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের বিনিময়ে বছরের পর বছর অবৈধ দখলিরা জবর দখল করে রাখলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব। সবচেয়ে বেশী জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে বর্তমান কক্সবাজার দক্ষিনের বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবিরের আমলে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হওয়ার পর তিনি দোষ এড়াতে গতকাল তার নিয়ন্ত্রনাধীন রামু পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বনভুমিতে পানের বরজ তৈরি করে অবৈধ দখল সংরক্ষিত বনের দুই হেক্টর বনভূমি উদ্ধার করেন। এ সময় ৪টি অবৈধ পানের বরজও উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রামু পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়। সোমবার (১২ জুলাই) পানের ছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদু রহমান টগর এর পরিচালিত অভিযানে এসব বনভূমি দখলমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
কক্সবাজার এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, এলাকার প্রভাবশালী, সরকার দলসহ নানা রাজনৈতিক মতাদর্শের দখলবাজরা বিভিন্ন কৌশলে পাহাড়ের সব ধরনের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। তারা বনায়নের জমিও বাদ দেয়নি। তেমনিভাবে পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বনের ভেতর পানের বরজ তৈরি করে দখলে নিয়েছিল চিহ্নিত দখলবাজরা। সোমবার দুপুরে রামু পানের ছড়া, তুলাবাগান ও খুনিয়াপালংয়ের বনকর্মীরা, একযোগে সরকারি বন ভূমিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হেক্টর বন ভূমি জবরদখল মুক্ত করে বন ভূমি দখলে নেয় বনবিভাগ। গুড়িয়ে দেয়া হয় পাহাড় তৈরি করা পানের বরজগুলো। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পানের ছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য এই বন বিভাগে আরো কয়েক হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি বেদখল হয়েছে। যেখানে প্রায় লক্ষাধিক পানের বরজ নির্মান করা হয়েছে। বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার প্রয়োজন বলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে বন বিভাগ পরিচালিত সুফল প্রকল্পের ও শতশত কোটি টাকা নতুন বাগান সৃজন না করেই ঐ অবৈধ পান বরজ মালিকদের দিয়ে তাদের অর্থে নামকাস্তে বাগান করে ঐ বাগান ও সুফল প্রকল্পের আওতাভুক্ত দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা।