প্রধান কৃষি পণ্য রফতানিকারক দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা এ কথা বলেন। এক বৈঠকে ইইউ কৃষিমন্ত্রীরা বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ইউরোপীয় ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাষের এলাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এ সব জমি খামারের উৎপাদনের জন্য ন্যাস্ত করা হবে। পশু খাদ্য আমদানি বিধিনিষেধ সহজ করা হবে এবং ইইউ’র কৃষকদের সরাসরি সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, কারণ আমরা জানি শস্য উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে থাকা ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।’ খামারে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ দুটি সার, বিশেষ করে গম, ভুট্টা, রেপসিড, সূর্যমুখী বীজ এবং সূর্যমুখী তেল রফতানি করে। রাশিয়া নাইট্রোজেন সারের বৃহত্তম সরবরাহকারী এবং পটাশিক ও ফসফরাস সারের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সার ও শস্যের আন্তর্জাতিক বাজারে ৮ থেকে ২২ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।