বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ। বরিশালের ঘটনাই প্রমাণ করে সারাদেশকে সন্ত্রাসের রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকেও এখানে আসার সময় ২৫ জনের মত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। গত পরশু ও আজকে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, আর্তমানবতার সেবা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সহযোগিতা করতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু এখন সরকারের নানান বাধার মুখে দলটি তাদের কার্যক্রম করতে পারছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সাংবাদিকরা লিখতে পারবে, একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা হবে, গণতান্ত্রিক ধারায় দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠবে, মানুষ তার কথা বলতে পারবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। এই বাংলাদেশ এখন একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের যাঁতাকলে পরে সম্পূর্ণ রূপে কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে।
এ সময় সাম্প্রতিক ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন নিপীড়ন চলছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলি সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।