বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এতদিন ধরে বলে আসছিলাম মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, পুলিশকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। ব্যবহার করে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করছে এটা এখন প্রমাণিত হয়ে গেছে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ও স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটি খবর বেরিয়েছে র্যাব নিয়ে-যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি হওয়ার কথা। এটি তাদের পরিণতি।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে রাখা উচিত তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী-কর্মকর্তা। তারা কোনো ব্যক্তি বা দলের কর্মচারী-কর্মকর্তা নন। সুতরাং সংবিধানে আপনাদের যে দায়িত্ব দেওয়া আছে তার বাইরে গিয়ে কোনো দায়িত্ব পালন করা আপনাদের উচিত নয়। একদিন না একদিন সেই পরিণতি আপনাদের বহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানি কারা লুট করে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। কারা বেগমপাড়ায় বাড়ি তৈরি করেছে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে, এটা আমরা সবাই জানি, দেশের সবাই জানে। পরিণতি এটাই। দেখবেন সেই সম্পদও আপনারা ভোগ করতে পারছেন না। আজকে বলা হয়েছে যে, সম্পদ সব বাজেয়াপ্ত করা হবে। কী লজ্জা, আমাদের পুলিশ প্রধান, আমাদের র্যাব প্রধানকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে!
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লা আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মনিরুল হক নূর প্রমুখ।