রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক।
শনিবার সকাল ৯টায় সরেজমিন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খোলা আকাশের নিচেই কাটছে ওই ট্রাকচালকদের নির্ঘুম রাত। ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ট্রাক চালকরা দেখা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত ফেরির। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চালক ও সহকারীরা।
এদিকে ঘাট এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও চাপ নেই যাত্রীবাহী দূরপাল্লার পরিবহন ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী নদী পার করার কারণে ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ঘাট এলাকাতে এসে কিছু সময় পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে পরিবহন ও ছোটগাড়িগুলো।
নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তবে এ সময় ওই এলাকায় নদী পারের জন্য কোনো দূরপাল্লার বাস বা ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় হতে রাজবাড়ীর দিকে কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে আরও প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। আর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের স্কেলের কাছে আরও অপেক্ষা করছে প্রায় অর্ধশত পণ্যবাহী ট্রাক। সব মিলে নদী পারের জন্য এই মুহূর্তে অপেক্ষা করছে প্রায় ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক।
ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা পাট বোঝাই ট্রাক চালক মিঠু, কামরুল মিয়াসহ একাধিক চালক ও শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার বিকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় নদী পারের জন্য তাদের ২৪ ঘণ্টার ওপড়ে ফাঁকা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা গোয়ালন্দ মোড়ে; কারণ এ সড়কটি পুরোই ফাঁকা। নেই কোনো খাবার হোটেল, নেই টয়লেটের ব্যবস্থাও।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কার্যালয় (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, শনিবার ফেরি চলাচল করছে ১৯টি। আর আমাদের ঘাট চালু আছে চারটি। আমরা চেষ্টা করছি এই দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় যেন না থাকে। তবে তিনি এই দীর্ঘ সারিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। কারণ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ট্রাকের চাপ বেড়েছে।