ঈদ শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লাখো মানুষের ঢল। সোমবার সকাল থেকেই এই নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। এ নৌরুটে চলাচলরত ফেরিগুলোতে মানুষের ভিড়ের কারণে পা রাখার ঠাঁই নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের(বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, রোববার বিকেল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে পদ্মা-যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তারা ফেরিতে গাদাগাদি করে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন।
তিনি আরও জানান, মাঝে-মধ্যে আবহাওয়া ভালো না থাকায় ফেরি চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করার চেষ্টা করছি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৮টি রো রো ও ৭টি ছোট ফেরি মোট ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়াও ৩টি ফেরি ঘাটে বসা রয়েছে। প্রয়োজনে ওই ফেরিগুলো দিয়েও যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে।
এদিকে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসে কোনো যানবাহন না পেয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে উথলী, টেপড়া বাসস্ট্যান্ডে এসে জনপ্রতি ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা করে ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকে অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে পায়ে হেঁটে ঢাকার দিকে রওনা দিচ্ছেন।
পাটুরিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলজার হোসেন জানান, আমরা যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছি। কিন্ত যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাচ্ছেন। যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাড়াহুড়া করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঘাটে কোনো যানবাহন না থাকায় তা উথলী, টেপড়াসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গিয়ে প্রাইভেটকার, ট্রাক, সিএনজি ও রিকশাভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছেন যাত্রীরা।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার সকাল থেকে যাত্রী ও প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত থাকলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ গার্মেন্টস আগামী মঙ্গলবার, বুধবার থেকে খোলা। অনেকেই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই কর্মস্থলে ফিরে গেলেও যাত্রীদের চাপ আরও দুই-তিনদিন থাকবে।