নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক শহর লাগোসে নির্মাণাধীন একটি ২২তলা ভবন ধসে অন্তত ১০০ জন চাপা পড়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক।
স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ইকোয়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ভবনটির ভেতরে কতজন মানুষ ছিলেন তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে অন্তত ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন।
উইজডম জন নামে এক নির্মাণ শ্রমিক জানিয়েছেন, ভবনটি ধসে পড়ার কিছুক্ষণ আগেই তিনি ওই ভবনের নিচ তলা থেকে বের হয়েছিলেন, যে কারণে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, গত দুই বছর ধরে বিলাসবহুল ভবনটির নির্মাণকাজ চলছিল। সোমবার বিকেল তিনটার পরপর নিজ ভবনে প্রচণ্ড ঝাঁকি অনুভব করেন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন ভূমিকম্প। কিন্তু পরে দেখেন বিশাল ভবনটি ধসে পড়ছে।
এই দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এ সময় তিন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেডক্রসের সদস্যরা।
সোমবার রাত পর্যন্ত তিন জনকে জীবিত উদ্ধার এবং এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক শ্রমিক আটকে আছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ফেমি ওকে ওসানিনতোলু।
এদিকে এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন লাগোস রাজ্যের পুলিশ কমিশনার হাকিম ওলুসেগুন ওদুমোসু।
ভবন ধসের ঘটনা নাইজেরিয়ার লাগোসে নতুন নয়। দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। ২০১৯ সালেও সেখানে দুটি আলাদা ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, লাগোসে এক হাজারের বেশি ভবন ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান