স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সাইবার অপরাধে নারীরাই বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এজন্য সাইবার স্পেস নারী সেবা উদ্বোধন করা হলো। যেখানে নারী পুলিশ সদস্যরা নারীদের সাইবার অপরাধ বিষয়ক পরামর্শ দেবেন ।সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।পুলিশ প্রধান বলেন, সাইবার অপরাধ সারাবিশ্বে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। এদেশে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে এসব অপরাধ করছে। যেখানে তারা নারীদের সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য নানা ধরনের ছবি কিংবা নানা ধরনের মন্তব্য পোস্ট দিয়ে থাকে। এভাবে বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের শতকরা ৬৮ ভাগ নারী সাইবার অপরাধ বা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এজন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আর যেসব নারী হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগের বয়স ২০ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে । বাংলাদেশের সাইবার আইনের প্রসঙ্গ টেনে বেনজীর আহমেদ বলেন, সাইবার, আইসিটি টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট দিয়েও এদের দৌরাত্ম্য রোধ করা যাচ্ছে না। সে কারণেই নতুন এই সাইবার স্পেস সাইটটি পুলিশের পক্ষ থেকে খোলা হলো।যেখানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নারী পুলিশ সদস্যরা। যারা হয়রানি বা অপরাধের শিকার নারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের বিষয়ে আইনি পরামর্শ দেবে।এই সেবা পেতে প্রয়োজনে জাতীয় সেবা নম্বরে (৯৯৯) যোগাযোগ করা যাবে। প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো কিংবা সহায়তা চাওয়া নারীকে সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসা হবে। এদেশের শিশুরাও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে প্রসঙ্গ টেনে পুলিশপ্রধান আরও বলেন, তাদের মন–মানসিকতায় নানা প্রভাব ফেলছে। এ কারণে সম্প্রতি শান্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের শিশু শাহাদাত হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ শিশুদের সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন শিশুদের এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আইজিপি সাইবার উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করেন।