তেলের দাম বেশি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমছে। আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া তিনি। তাই চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশকে তাদের অপরিশোধিত তেলের সঞ্চয় থেকে তেল ছাড়ার কথা ভাবতে অনুরোধ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাপানের শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমাতে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের কাছে সহায়তা চেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে এর মধ্যে অপরিশোধিত তেলের সঞ্চয় থেকে তেল ছাড়ার বিষয়টি আছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত করেননি। তবে ওই কর্মকর্তা জানান, আইন অনুযায়ী জাপান দাম কমাতে তেলের সঞ্চয় ব্যবহার করতে পারে না।
এদিকে, চীনের রিজার্ভ ব্যুরো জানিয়েছে, তারা অপরিশোধিত তেলের সঞ্চয়ে হাত দেয়ার কথা ভাবছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি তারা। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউস। ২০১১ সালে ওপেক সদস্য লিবিয়ায় যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার কয়েকটি সহযোগী দেশ রিজার্ভে থাকা তেল ব্যবহার করেছিল।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালনপ্রতি তেলের গড় মূল্য ৩.৪১ ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও শুরু হওয়ায় তেলের দাম বাড়ছে। বাইডেনের কয়েকজন সহযোগী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাইডেনের জনসমর্থন রেটিং কমার কারণ জ্বালানি, খাবারসহ অন্যান্য খাতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।