বরিশালে নিজ ঘরের মেঝে থেকে সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া হাওলাদার সড়কে মৃতের নিজ বাসভবন ‘শুভ্র নীড়’ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সালেহা বেগম (৬৭) নামের ওই নারী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল (অব.) অফিসার ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক এবং উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হোসেন মজুমদার।
ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিমুল করিম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সালেহা বেগম সোনালী ব্যাংকে ২৫ বছর চাকরি করার পর তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য ২০০৫ সালে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ করেন।
এর পর থেকে তিনি পশ্চিম কাউনিয়া হাওলাদার সড়কে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানেই বসবাস করতেন। তার স্বামী ও প্রতিবন্ধী ছেলে মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে সূচী ও সুমাকে নিয়ে থাকতেন। বড় মেয়ে সুমার বিয়ে হয়ে গেলে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। আর ছোট মেয়ে ডাক্তার সূচী তার সঙ্গেই থাকতেন।
গত দুদিন আগে অফিসিয়াল কাজে মেয়ে সূচী ঢাকায় যান। রোববার বাসায় ফোন দিয়ে তার মাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রশিদের স্ত্রী হেলেনাকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু গভীর রাত হওয়ায় হেলেনা তখন খোঁজ না নিয়ে সকালে পার্শ্ববর্তী আরেক বাসিন্দা ব্যাংকার হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় যান।
বাসার বাইরে গেট বন্ধ থাকায় কলিংবেল দিয়েও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরে মই এনে দেয়াল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে জানালা দিয়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তারা ৯৯৯- ফোন করলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে মেঝেতে সালেহার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
কাউনিয়া থানার ওসি মো. আজিমুল করিম জানান, সকাল ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তার মেয়েরা আসার পর আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।