তথ্যমন্ত্রী ও আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যেহেতু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেজন্য তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে কারণেই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। তিনি বলেন, জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তাই তারা আসলে নির্বাচন করতে চায় না।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবি’তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে বিএনপি’র বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না কারণ তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি; তিনি এবং তারেক রহমান আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন না। যেহেতু তারা দু’জনই নির্বাচন করতে পারবে না সেজন্য বিএনপির আসলে নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তারা যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে, এগুলো আসলে বাহানামাত্র। আপনারা জানেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিলো, পরবর্তীতে অংশগ্রহণ করেছিলো নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করতেন এবং তাকে বিএনপি’র উপদেষ্টা হিসেবে সবাই জানে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহর তালিকা থেকে সিইসি নিযুক্ত হয়েছেন এজন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং সিইসির ওপর আস্থা রাখার জন্য বিএনপিসহ সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এখন বিএনপি ডা. জাফরুল্লাহকেও অস্বীকার করছে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তার হাত দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন ৪৫টির লাইসেন্স রয়েছে। এতোগুলো টেলিভিশন চ্যানেল হওয়ার প্রেক্ষিতে, এতো গণমাধ্যমকর্মী সৃষ্টি হয়েছে। এতজন খবর পাঠক-পাঠিকা সৃষ্টি হয়েছে, আপনাদের এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে। নিশ্চয়ই এজন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখেন।
এনবিএ সভাপতি মুমতাহিনা হাসনাত রীতুর সভাপতিত্বে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও মানষ ঘোষ বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। উপস্থাপক জাফর সাদিক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। এসময় সংগঠন থেকে দেওয়া পরিচয়পত্র সদস্যদের হাতে তুলে দেন মন্ত্রী।
সন্ধ্যায় দৈনিক সময়ের আলো’র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বাংলা মোটরে পত্রিকাটির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সময়ের আলো’র প্রকাশক, সম্পাদকসহ সকল গণমাধ্যমকর্মী ও পাঠকদের অভিনন্দন জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দৈনিক সময়ের আলো’র প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায়, নির্বাহী সম্পাদক হারুন অর রশিদসহ কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।