স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে কিন্তু তা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয় সেজন্য প্রার্থীদের সহনশীল হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। সিইসি বলেছেন, নির্বাচন উপলক্ষে এরইমধ্যে কয়েকজন নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরেছে। মনে রাখতে হবে নির্বাচনের চেয়ে একটি জীবন অনেক মূল্যবান। নির্বাচন প্রতিযোগিতার হোক; কিন্তু তা যেন সহিংসতায় শেষ না হয়। সংঘাত-সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে-এমনটি যাতে কখনো না হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিইসি এসব কথা বলেন। আলোচিত এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দাবির বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে উত্তরে সিইসি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। তাই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই। নির্বাচনের দিন এবার সাধারণ ছুটিও থাকছে না।
নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত আশ^স্ত করার মতো উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। তারা নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। তাই সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না কমিশন।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী কোন দলের, মতের, গোত্রের সেটা বড় পরিচয় নয় মন্তব্য করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া একজন প্রার্থীর পরিচয় শুধুই একজন প্রার্থী। সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণায় আইনি সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির জীবন চলে গেছে। এভাবে সংঘাত-সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে এটা হতে পারে না।’
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সাধারণ ছুটি না রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সিইসি বলেন, ‘বেশিরভাগ সময় আমরা দেখেছি ছুটি পেয়ে অনেক ভোটার বাড়ি চলে যান, ভোট দেন না। কেবিনেট থেকে একটা নির্দেশনা জারি আছে, যারা ব্যক্তিগত বা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন তারা যেন ভোট দেয়ার সুযোগ পান। এ কারণে সাধারণ ছুটি আর রাখা হচ্ছে না। তবে ভোটের দিন বড় গাড়ি, ট্রাক এবং মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।