নেদারল্যান্ডস থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পেপল মেইলে টাকা পাঠিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আনা হয় নতুন মাদক এলএসডি (লাস্ট স্টেট অফ ড্রাগ)। ডাক টিকিটের মত দেখতে এই মাদকটির একটি ব্লক ৮০০-১০০০ টাকায় ক্রয় করে প্রতি ব্লক বিক্রি করা হয় ৩-৫ হাজার টাকায়। অভিজাত শ্রেণির মাদক হওয়ায় এটি বিক্রি করতে বেছে নেয়া হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণির ধনাঢ্য শিক্ষার্থীদের।
এলএসডি মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের আত্মহত্যার সূত্র ধরে চক্রটির সন্ধান পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মূলহোতা সাদমান সাকিব ওরফে রূপল, আসহাব ওয়াদুদ ওরফে তূর্য ও আদিব আশরাফ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, উন্নত দেশের ছেলে মেয়েরা কনসার্ট বা অন্য কোনো উৎসবে যোগ দেওয়ার আগে বিশেষ উত্তেজনা আনতে এলএসডি মাদক সেবন করে থাকে। আমাদের দেশেও এক শ্রেণির মানুষ এই মাদক সেবন করে আসছিলো। বিষয়টি ডিবি পুলিশের নজরে আসার পর অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলহোতা সাদমান ১ বছর ধরে মাদকটি বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। অন্য দুজন কয়েকমাস ধরে এ চক্রের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি নতুন ধরনের মাদক তাই এটি যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কুরিয়ারের মাধ্যমে যাতে এটি দেশে আসতে না পারে সেজন্য পুলিশ সদরদপ্তর ও ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে এ চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।