বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

নোয়াখালীতে প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগ বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুুষ্ঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২
  • ৩০৯ পাঠক পড়েছে
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হোপ ফাউন্ডেশন ফর ইউমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ মহিলাদের প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগ বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুুষ্ঠিত হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাছুম ইফতেখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ পরিচালক ডা: এ কে এম জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কামরুন নাহার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: ইসহাক, সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও গাইনী বিভাগের প্রধান ডা: সালমা ইসলাম, হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা: ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ (এমডি), কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান, হোপ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী ও ফিস্টুলা) ডা: নির্ন্ময় বিশ্বাস, রিচার্চ ফেলো ড. গোলাম হাফিজ  মেডিকেল অফিসার অবস্ গাইনী ডা. ইষাণী সরকার, প্রজেক্ট ম্যানেজার রুহুল আমিন, ডা: হেমা সানজিত, ডা. বাসবী রায় এবং জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পারিকল্পনা কর্মকর্তা এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারসহ  বেসরকারি উন্নয়ণ সয়স্থা ও গণ্যমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাছুম ইফতাখার বলেন, ফিষ্টুলা রোগীদের জন্য হোপ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় একজন প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগীকে পুনর্বাসনের আওতায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন তিনি নিজেই।
অবহিতকরণ সভায় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রত্যন্ত গ্রামে স্বামী সংসার ও স্বজন পরিত্যক্ত অবস্থায় অনেক মহিলা প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগে ভুগছে। তারা কি করবেন, চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে কিছুই জানেন না। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে মহিলাদের প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগ নির্মূল করতে চায়।
হোপ ফাউন্ডেশন এই রোগে আক্রান্তদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৭০৪ জন প্রসবজনিত ফিষ্টুলা রোগীর অপারেশন করে এই সংস্থাটি। নিজস্ব হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা, সব পরীক্ষা, ওষুধ, থাকা খাওয়া ও যাতায়াত খরচ হোপ ফাউন্ডেশন বহন করে। ফাউন্ডেশন বিগত ১৯৯৯ সাল থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580