একের পর এক ঘটেই চলছে নৌ দুর্ঘটনা। সোমবার ভোরে মাদারীপুরে মর্মান্তিক স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর অভিযোগের তীর নৌ পুলিশের দিকে থাকলেও নৌ পুলিশ বলছে, সচেতন হতে হবে সব পক্ষকে। আর বিশেষজ্ঞরা দুষছেন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে।
পদ্মার বুকে পিনাক ৬ ডুবে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনো মুছে যায়নি স্বজনহারাদের মন থেকে। ৭ বছর আগে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফেরার পথে কয়েকশ’ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া পিনাকের ৭০ জন যাত্রীর এখনো হদিস মেলেনি। ঈদের আগে-পরে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লকডাউনের মধ্যে স্পিডবোট চলল কীভাবে সেটি দেখার দায়িত্ব ছিল নৌ পুলিশের।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোট ঘাট বন্ধ। আমরা এটাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। আশপাশে চুরি করে স্পিডবোট চালিয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নৌপুলিশ রয়েছে তারা যদি আর একটু সচেষ্ট থাকতেন তাহলে চুরি করে নৌযান চালানো রোধ হতো।
আর নৌ পুলিশের ব্যাখ্যা, সচেতন হতে হবে সবাইকে।
নৌ পুলিশের ডিআইজি আতিকুর ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে স্পিডবোটে উঠছে কি না, তারা বৈধ চালক কি না, এগুলো তাদের আর একটু দেখা দরকার ছিল। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে এটা ঠিক না, এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
নৌ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়, মামলাও হয় কিন্তু বিচার ঝুলে থাকে বছরের পর বছর।
দেশের একমাত্র নৌ আদালতে মামলা ঝুলছে প্রায় হাজার ৬০০টি।