ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে দেশের ৭০৭ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি ভোট হবে। শনিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এই ধাপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এ তফসিল অনুমোদন দেওয়া হয়।
তফসিল অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। ভোট ৫ জানুয়ারি। এ ধাপে ৩৭ ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। বাকিগুলোয় ভোট নেওয়া হবে প্রচলিত ব্যালট পেপারে। দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ধাপে ধাপে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচন উপযোগী সব ইউপির ভোট শেষ করার পরিকল্পনা করেছে ইসি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বর্তমানের ৫ সদস্যের ইসির মেয়াদ শেষ হবে।
চলতি বছরের মার্চে ইউপি ভোটের তফসিল দিয়ে ১১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আটকে যায় নির্বাচন। পরে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হবে ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১০০৩ ইউপির ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৮৪০ ইউপিতে ২৩ ডিসেম্বর। শনিবার পঞ্চম ধাপের তফসিল দেওয়া হয়। এরমাধ্যমে পাঁচ ধাপে প্রায় চার হাজার ইউপির ভোটের তারিখ দেওয়া হয়। দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে বাকিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভোটের প্রস্তুতি নেবে ইসি সচিবালয়।