পরিবহন ধর্মঘটেও চলছে অধিভুক্ত পরীক্ষা, বিপাকে শিক্ষার্থীরাপরিবহন ধর্মঘটেও চলছে অধিভুক্ত পরীক্ষা, বিপাকে শিক্ষার্থীরা
সব ধরনের পণ্য পরিবহনসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হলেও বন্ধ নেই ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। ফলে বিপাকে পড়ছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাকরা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সাত কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে এমন চিত্র দেখা যায়।
তিতুমীর কলেজে পরীক্ষা দিতে আসে অনিক রাজমুন্সির মা শেফালী রাজমুন্সি বলেন, আমরা পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার থেকে আসছি। যেখানে জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া সেখানে আমাদের ভাড়া লেগেছে ৩০০ টাকা। তারপরও ভোগান্তির কোন শেষ নেই।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা অভিভাবক সুমি বলেন, আমার মেয়ের পরীক্ষা। মেয়েকে নিয়ে ভোর ৬টায় রওনা দিয়েছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মঘট দেখে যেন মাথায় আকাশ ভাঙা অবস্থা। মুন্সিগঞ্জ থেকে আসতে প্রায় ৭০০ টাকা ভাড়া লাগছে। যাওয়ার ভাড়াও সংকট। মেয়ের পরীক্ষা শেষ হলে কিছু খাওয়াবো যে তেমন পরিস্থিতিও এখন আমার নেই।
অভিভাক রবিউল জানান, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে আসছি দু’দিন আগে। মিরপুর এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা শেষ আজ চলে যাওয়ার কথা। অথচ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আমাদের অবস্থা নাজেহাল। একেতো ভাড়া বেশি, তার ওপর হয়রানি। এখন কিভাবে কি করবো বুঝতেছি না। আমাদের দাবি খুব শিঘ্রই এই ধর্মঘট উঠে ফেলা হোক।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন জানান, পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় যথারীতি শুক্রবার সাতটি কেন্দ্রে সাত কলেজের বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।
এবার সাত কলেজের বাণিজ্য ইউনিটের মোট ৫ হাজার ৩১০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২৩ হাজার ৭০০টি।
এছাড়াও একই দিন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। ঢাকার ৬৫টি কেন্দ্রে প্রায় ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। এক্ষেত্রেও পরীক্ষা স্থগিত কিংবা বাতিলের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় আগামীকাল শনিবার বিকেল ৩টায় এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সারাদেশের মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সারাদেশের বাস মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি একমত।’