স্টাফ রিপোর্টার : বিকল্প পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল পৌনে ১১টার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়েই এভাবে ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে যেন একটি বছর নষ্ট না হয় সেজন্য এভাবে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা শুরু হওয়ার পর আমরা অপেক্ষা করছিলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেয়ার। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে আমাদের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
‘আমাদের অপেক্ষামাণ পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিলেও সকলকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমরা পরীক্ষা আয়োজন করতে পারিনি। বিশ্বের অনেক দেশেও পরীক্ষা ছাড়াই পাস দেয়া হয়েছে। তার আলোকে আমরাও এ পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হই।–যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষা ছাড়া পাস দেয়ার বিষয়ে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি না হতে আমরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই এ ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানান তিনি।
সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সংসদ টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে শ্রেণি পাঠ করানো হচ্ছে। তবে আমরা ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মার্চ-এপ্রিলে আংশিকভাবে স্কুল খুলে দেয়া হবে।বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ঘরে বসেই পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে। অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। দেশের যেকোনো এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের বিকল্প এই প্রক্রিয়ায় এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। প্রকাশিত ফলে এইচএসসি ও সমমানে এবার দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ, গতবছর যা ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।