নচিকেতা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে পরীমনিকে ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত, সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন।’
‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে/এত সাহস কার/শুধু নামটা বলো তার/তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’
গানের কথাগুলো দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর। ২০১৭ সালে প্রকাশিত গানটির শিরোনাম ‘এত সাহস কার’।
জনপ্রিয় সে গানের ইউটিউব লিংক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। সেটির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘নিজের ওপর আস্থা রাখুন।’
পরীমনির ক্যাপশন দেখে মনে হচ্ছে, গানটিতে অনুপ্রেরণা খুঁজেছেন তিনি।
বিষয়টি নচিকেতাকে জানান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন। জবাবে সংবাদমাধ্যমটিকে নচিকেতা বলেন, ‘আমি জানি পরীমনি আমার গান শোনেন; পছন্দও করেন। আমি ওর অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে।’
নচিকেতা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে পরীমনিকে ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত, সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন।’
এরপরই আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে পরীমনিকে খোলা বার্তা দেন নচিকেতা। তিনি বলেন, ‘আপনাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’
গত ৪ আগস্ট রাতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি।
পরের দিন পরীমনিকে আটকের কারণ জানানোর পাশাপাশি বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে র্যাব। ওই দিনই অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে আরও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
রিমান্ড শেষে পরীমনিকে রাখা হয় কাশিমপুর কারাগারে। ৩১ আগস্ট জামিন হয় পরীমনির। ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়ে বনানীর বাসায় ফেরেন তিনি। সেখানেই আছেন এখন।
তবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার সন্ধ্যায় দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পরীমনি। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন!’
নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে পরীমনি পরের লাইনে লেখেন, ‘রাস্তায় মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি।’